Page

Wednesday, September 30, 2015

নিজেই APK Edit করুন । (Android root user only)

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই ভাল আছেন । APK Edit করার জন্য সাধারণত PC ব্যবহার করা হয় , সাথে কিছু Apk edit tools . কিন্তু আজ আমরা আমাদের ফোন থেকে APK Edit করব । মাসের পর মাস , বছরের পর আমরা বিভিন্ন apps ব্যবহার করে আসছি যার icon গুলো হয়ত আমাদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে গেছে । আজ আপনি ঐ app কে edit করে তার icon সারাজীবনের জন্য  পরিবর্তন করে দিবেন ।  আপনার বন্ধুর অ্যাপ এবং আপনার অ্যাপ দেখতে আর একমত থাকবে না ।
* কাজটি করার জন্য আমরা ৩ টি app ব্যবহার করব-
* Root Explorer , এখান থেকে  download করুন । ইন্সটল করুন ।
* PicsArt , এখান থেকে  download করুন । ইন্সটল করুন ।
* ZipSigner , এখান থেকে  download করুন । ইন্সটল করুন । যদি ZipSigner আপনার ফোনে সাপোর্ট না করে তাহলে আপনি এই টিউন দেখুন ।
১। Root Explorer ওপেন করুন । আপনি যে অ্যাপ edit করতে চান সে লিংকে যান । download কৃত অ্যাপ হলে data/app ফোল্ডারে এবং সিস্টেম অ্যাপ হলে system/app ফোল্ডারে  যান ।যেমন আমি skyfire app edit করব যা data/app ফোল্ডারে আছে -
২। app টিতে প্রেস করে option থেকে Extract all এ ক্লিক করুন ।
৩। app extract হয়ে sdcard/speedsoftware/extracted  ফোল্ডারে জমা হবে ।
৪। অ্যাপ ফোল্ডার ওপেন করে  res ফোল্ডার  এ drawable ফোল্ডার এ যান । অর্থাৎ  res/drawble . সেখানে icon দেখতে পাবেন যা আপনি পরিবর্তন করতে চান ।
৫। এবার আপনি যে icon নতুন ভাবে দিতে চান তা Picsart এর মাধ্যমে edit করে ঐ একই নামে (যেমন এখানে নাম - app_icon.png ), একই format (যেমন এখানে format  png )  এ  res/drawble ফোল্ডারে পেস্ট করুন । পুরাতন icon টি replace/delete করে দিন । আপনার কাছে যদি png format এ icon থেকে থাকে তাহলে Picsart ব্যবহারের দরকার নেই , সরাসরি ঐ একই নামে (যেমন এখানে নাম - app_icon.png ), একই format (যেমন এখানে format  png )  এ icon টি  res/drawble ফোল্ডারে পেস্ট করুন ।
৬। sdcard/speedsoftware/extracted  ফোল্ডারে জমা (back key চাপুন ) app ফোল্ডারে প্রেস করে Zip this folder এ ক্লিক করুন ।
৭। sdcard/speedsoftware/zip ফোল্ডারে যান । ............ .zip কে rename করে ......... .apk করুন ।
৮। এবার ZipSigner ওপেন করুন । input থেকে কিছুক্ষণ পূর্বে rename করা apk দেখিয়ে দিন । আর output এ এর একটি ........... . apk (যেকোন) নাম দিন । key/mode দিন auto-testkey . এবার sign the file এ ক্লিক করুন ।
৯। কাজ শেষ । এবার পুরাতন অ্যাপ uninstall করুন । output directory (sdcard) থেকে নতুন app install করুন ।
১০। অনেক অ্যাপ extract করলে আপনি বহু drawable folder পেতে পারেন । সেক্ষেত্রে প্রতিটি ফোল্ডার চেক করুন , কোন কোন ফোল্ডারে icon কি কি নামে আছে । প্রতিটি ফোল্ডারে ঐ নামে নতুন icon দিন আর পুরাতনটি delete করুন  । আর বাকি সব কাজ একই মত করুন ।
সবাই ভাল থাকবেন ।

(টেক্সট + ভিডিও টিউটোরিয়াল) একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে চালান একই অ্যাপ্স অনেকগুলো। গ্রামীনফোন সিমে wowbox এর মাধ্যমে MB নিন যতগুলো সিমে ইচ্ছা, সিম পকেটে রেখেই প্রতিদিন!

আজ খুব মজার একটা জিনিস শিখব আমরা। কেমন হয় যদি আপনি আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপ্স একাধিক আপনার ফোনে ইন্সটল দিন। যেমন- facebook messenger, skype,viber,wowbox ইত্যাদি। আপনারা নিশ্চয়ই  লক্ষ্য করেছেন, একটা অ্যাপ্স দুইবার ইন্সটল দিলে একটা আরেকটাকে রিপ্লেস করে. মানে দুইটা ইন্সটল হয়না  কাজেই আমাদের অন্য কিছু করতে হবে যাতে 2/3/4/5 কিংবা আমাদের ইচ্ছে মত যতগুলো ইচ্ছা একেকটা ইন্সটল দিতে পারি এতোক্ষণ ছিল ভূমিকা! এবার মূল পর্ব।
যাদের টেক্সট পড়ার ধৈর্য নেই তারা ভিডিও দুটি দেখে শিখে নিনঃ
1.Clone Android Apps in Bangla বাংলা HD
2.Use multi Wowbox in an Android Mobile বাংলা
যা যা শিখব:
1. যে কোন অ্যাপ্স ক্লোন করা;
2. একই অ্যাপ্স যতগুলো ইচ্ছা ইনস্টল দেওয়া;
3. wowbox একাধিক ইনস্টল করা;
4. গ্রামীণফোন সিম পকেটে রেখেই প্রতিদিন 20 MB করে নেওয়া।
যা যা লাগবে:
1. দুটি অ্যাপ্স;
2. যে অ্যাপ্স নকল করবেন সেটার apk ;
3. আর একটা android মোবাইল :-p
কাজ শুরু করা যাক:
1. প্রথমেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড  (apk editor, size 238 KB) করুন, এবার এটা ডাউনলোড (apk editor patch, size 213 KB)  করুন;
2. প্রথম ফাইলটি ইনস্টল দিন;
3. এবার দ্বিতীয় ফাইলটি ইনস্টল দিন। রিপ্লেসের অনুমতি দিন;
4. Apk Editor ওপেন করুন;
5. SD Card থেকে যে অ্যাপ্স নকল করতে চাচ্ছেন তা কিছু সময় ধরে রাখুন;
6. ক্লোন সিলেক্ট করুন;
7. কোথায় সেভ করবেন এই ফাইলটি তা দেখিয়ে OK দিন;
8. এবার রিনেইম করুন;
9. সেভ করুন
10. চমৎকার! একটা অ্যা;পস ক্লোন করে ফেলেছেন।
কী? বিশ্বাস হচ্ছে না? যেটি এইমাত্র সেভ করলেন তা ইনস্টল করে দেখুন কি বিশ্বাস হল তো!
এবার আসা যাক Wowbox এর ব্যাপারে এইটা শেয়ার করতে হয়তো আরো দেরি হত কিন্তু গ্রামীনফোন এইতো যা শুরু করে করেছে তাতে এখনই শেয়ার করে দিলাম :)।
প্রথমেই বলে রাখি wowbox কি, wowbox হল জিপির একটা নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্স এটার মাধ্যমে আপনারা জিপি ইউজাররা যারা বন্ধু প্যাকেজে আছেন তারা ইচ্ছে করলেই প্রতিদিন 20 MB করে ইন্টারনেট নিতে পারবেন ফ্রী তে। অন্যান্য অনেক সুবিধা আছে। আমার কাছে এটাই মুল।
আবার কাজ শুরু করা যাক:
1. ঐভাবে wowbox অ্যাপ্স ক্লোন করুন (যতগুলো দরকার ততগুলো ক্লোন করুন) ;
2. এবার যতগুলো দরকার ততগুলো wowbox ইন্সটল দিন;
3. যে সিমে MB নিবেন তা আপনার Android মোবাইলে ইন্সার্ট করুন;
4. এবার setting>sim management  এ গিয়ে ম্যাসেজিং এর জন্য যে সিমে MB নিবেন তা সিলেক্ট করুন কিংবা সিম 1 এ সিম ঢুকান এতে এইটা করতে হবে না;
5. নেট কানেকশন দিয়ে wowbox চালু করুন;
6. Free 20 MB থেকে ফ্রী নিন;
7. কাজ শেষ...।
লক্ষণীয়:
1. MB নেওয়ার জন্য সিম বন্ধু প্যাকেজ করে নিন;
2. সিম মাত্র একবারই ইনসার্ট করতে হবে। এর পর আপনি ইচ্ছে করলে সিম খুলে ড্রয়ারে রেখে দিতে পারেন কোন অসুবিধা নেই :-P।  শুধু প্রতিদিন wowbox চালু করে 20 MB ক্লেইম করবেন যে কোন সিম দিয়ে এটা করতে পারেন কোন অসুবিধা নেই।
বি.দ্র: সিম মোবাইলে ইনসার্ট না করেই MB নেওয়ার একটা পদ্ধতি বের করেছি কিন্তু ঠিক ঠাক কাজ না হওয়ায় এখন শেয়ার করতে পারছি না এটা করতে পারলে যাদের ফোনে শুধুই মিনি সিম সাপোর্ট করে তারাও সিম না কেটেও MB নিতে পারবেন। আমি একটা সিমে এটা সফলভাবে করতে পেরেছি আরও ভাবনা চিন্তা করে এটাও শেয়ার করব।
শেষ কথা: একটা টিউনার ভাল ভাল টিউন করার ইচ্ছা ছেড়ে কখন জানেন? যখন ভাল টিউনের মূল্যায়ন করা হয় না কিংবা কপি-পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দিলে।  ফলাফল হয় আপনারা (আমরা) ভাল টিউন আর পান না এবং কপি-পেস্ট ওয়ালা হা-হুতাস করতে শুরু করে দেয়।  তাই একটা কথাই বলব কেউ কপি পেস্ট করবেন না  লিংক শেয়ার করুন। একান্তই প্রয়োজন হলে মূললেখকের নাম এবং মূল লেখার লিংকও সাথে দিয়ে দিবেন।
কোন সমস্যা হলে টিউমেন্টে জানাবেন কিংবা আমাকে ফেসবুকে ম্যাসেস দিতে পারেন।
পূর্বে প্রকাশিতঃ এখানে
ভাল থাকুন।

Monday, September 28, 2015

গ্রামীনফোনের সীম থেকে টাকা কেটে নেওয়ার সার্ভিস বন্ধ করার কোডগুলো জেনে নিন।


আসসালামু আলাইকুম।

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো।




আর গায়েব হবে না! টাকা কেটে নেওয়ার সার্ভিস বন্ধ করার কোড গুলো আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি। সংগ্রহ করে রাখুনঃ

Grameenphone All Service type “Stop all” and send 2332

Grameenphone Welcome tune : Type “Stop” and send to 4000

Grameenphone Internet off *500*40#

Grameenphone Facebook Type “Stop” and send to 32665

Grameenphone Facebook USSD dial *325*22#

Grameenphone Mobile Twitting Type “Stop” and send to 9594

Grameenphone Call Block : Type “Stop CB” and send to 5678

Grameenphone Missed Call Alert write “STOP MCA” and send to 6222

Grameenphone Cricket Alert Service “Stop Cric” to 2002.

Grameenphone Sports service Type “STOP SN” and SMS to 2002.

Grameenphone Cricket service, type “STOP CR” and SMS to 2002.

Grameenphone Mobile Backup Write “Stop MB” and send to 6000

Grameenphone Buddy Tracker Type “Stop” and send to 3020

Grameenphone Music News Type “Stop BD ” and send to 4001

Grameenphone Voice Chat dial 2828 and press 8.

Grameenphone Entertainment Box Type “Stop” and send to 1234

Grameenphone Ebill type “Ebill cancel” and send to 2000.

Grameenphone Job News type “STOP<space>JOBCATEGORY” to 3003.

Grameenphone Namaz timings: SMS “STOP N” to 2200.

Grameenphone Hadith sharif SMS “STOP H” to 2200.

Grameenphone Voice Mail Service Dial ##62# or ##67# or ##61# or ##21#


সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন ।

Wednesday, September 23, 2015

পৃথিবী কাঁপিয়ে দেয়া ৯টি ছবি! যা দেখে আপনার চোখের পানি আটকে রাখতে পারবেন না।

বলা হয়ে থাকে, একটি ছবিতে যা প্রকাশ করা যায়, তা হাজার লাইন লিখেও করা যায় না। কিছু ছবি মানুষকে হাসায়, কিছু বিষণ্ণ করে, কিছু হয়তো আতঙ্কগ্রস্ত করে। কিন্তু এরকম কিছু ছবি আছে যা মন ছুঁয়ে যায়, কাঁদতে বাধ্য করে একজন মানুষকে। আপনার হৃদয়কে কিছুটা নাড়া দিবে হয়ত মাত্র এই কয়েকটা ছবি। চলুন দেখে নেয়া যাক ছবিগুলো।
১. ভূপালের গ্যাস ট্রাজেডিঃ
১৯৮৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভূপালে একটি কীটনাশক তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটলে বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানাইড গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫ জন মানুষ আহত হন, নিহত হন প্রায় ১৫ হাজারের মত মানুষ। ফটোসাংবাদিক পাবলো বার্থোলোমিউ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ছবিটি তারই তোলা যা দুর্ঘটনায় নিহত শিশুটিকে মাটিতে সমাহিত করার আগ মূহুর্তে তোলা হয়।
২. রানা প্লাজায় ধসঃ
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় মুহূর্তেই মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে শোক এবং উৎকণ্ঠা। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত-নিহত মানুষে বের করে আনার পুরো প্রক্রিয়াটা চলেছে দিনের পর দিন আর তার মাঝে দিয়ে আমরা সবাই একটু একটু করে উপলব্ধি করেছি নিদারুণ সেই বিভীষিকা। ব্যাপারটি এতই গুরুতর যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে এর সংবাদ চলে যায়, সেই সাথে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে তোলা বিভিন্ন ছবি।
যেমন, তাসলিমা আখতারের তোলা প্রচ্ছদের এই ছবিটি। দুইজন মানুষের পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে বেঁচে থাকার যে ভীষণ আকুতি উঠে এসেছে এই ছবিতে, শত বলেও তা ব্যাখ্যা করা যাবে না। কি করে মৃত্যু হলো তাদের? তারা কি একজন আরেকজনকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন? কেমন ছিলো তাদের জীবন, তাদের স্বপ্ন? না জানি কী ভীষণ ভালোবাসায় মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে পরস্পরকে আঁকড়ে ধরেছিলেন তারা!
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখনো আলোচিত হয়ে যাচ্ছে মর্মস্পর্শী এই নিদারুণ করুন ছবিটি।
৩. ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট্ট মেয়েটিঃ
এ ছবিটি একটি ছোট মেয়ের, যে কিনা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল। কেমোথেরাপির কারণে তার মাথার চুল সব পড়ে যায়। আয়নাতে কি মেয়েটি তার মনের ইচ্ছাটুকুই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছিল? মেয়েটি এখনো বেঁচে আছে কিনা আমাদের জানা নেই।
৪. মানুষ মানুষের জন্যঃ
উগান্ডাতে ১৯৮০ সালে চলছিল প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ। অনাহারের শিকার এক শিশুর হাত পরম মমতায় ধরে রেখেছেন দাতব্য সংস্থার একজন কর্মী। মর্মস্পর্শী এ ছবিটি তুলেছেন মাইক ওয়েলস।
৫. প্রিয় শিক্ষকের জন্য বেদনার সুরঃ
ডিয়েগো ফ্র্যাজাও টোরকোয়াটো নামে ১২ বছরের এই ব্রাজিলিয়ান ছেলেটি তার প্রিয় শিক্ষকের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ভায়োলিন বাজাচ্ছে, চোখে বেয়ে ঝরে পড়ছে তীব্র কষ্টের অশ্রু। সেই শিক্ষক ছোট এ ছেলেটিকে সঙ্গীতের সাহায্যে দারিদ্র ও সংঘাত থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা করেছিলেন।
৬. ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে পড়ন্ত মানুষঃ
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় বিধ্বস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার। পুরো ভবনে আগুন ধরে গেলে অনেকেই নিচে ঝাঁপ দেন জীবন বাঁচানোর আশায়। সেরকমই এক হতভাগ্য ব্যক্তির ছবি তুলেন এপি’র আলোকচিত্রশিল্পী রিচার্ড ড্রিউ। বলাই বাহুল্য যে মানুষটি বাঁচাতে পারেন নি নিজের জীবন।
৭. থাইল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যাঃ
থাইল্যান্ডের নির্বাসিত স্বৈরশাসক ফিল্ড মার্শাল থামম কিটিকাচর্নের দেশে ফিরে আসার কথা শুনে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো থাইল্যান্ড। থামাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের উপর গণহত্যা চালানো হয় ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর। বহু ছাত্রকে গুলি করে, পিটিয়ে বা আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। সেরকমই একটি ঘটনার ছবি তুলেছেন নীল ইউলেভিচ, যেটা ১৯৭৭ সালে পুলিৎজার প্রাইজ পায়।
৮. সুদানের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ১৯১৩ :
বিশ্ববিখ্যাত ও একইসাথে প্রবল সমালোচিত এ ছবিটি ১৯৯৩ সালে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আর এর মাধ্যমেই আলোতে আসেন আলোকচিত্রশিল্পী কেভিন কার্টার। সুদানের দুর্ভিক্ষের সময় তোলা এ ছবিটি ১৯৯৪ সালে জিতে নেয় পুলিৎজার পুরস্কার। এতে দেখা যায়, দুর্ভিক্ষে খেতে না পেয়ে জীর্ণ-শীর্ণ একটি শিশু মাটিতে মূমুর্ষ অবস্থায় পড়ে আছে, আর খুব কাছেই একটি শকুন বসে আছে। যেন কখন শিশুটি মারা যাবে ও এটা শিশুটিকে খেয়ে ফেলতে পারবে তারই অপেক্ষা।
ছবিটি ভয়াবহ বিতর্ক তৈরি করে। কথা উঠে যে, ছবি তুলে শিশুটিকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা কেভিন করেছিলেন কি না? কেভিনের নিজেরও মনে হতে শুরু করে যে, তিনি হয়তো চাইলে শিশুটিকে বাঁচাতে পারতেন। তীব্র মানসিক যন্ত্রণা থেকে ১৯৯৪ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন। যদিও শিশুটি সেসময় মারা যায় নি, আরো বেশ কিছুদিন বেঁচে ছিল। নিয়ং কং নামের ছবির ছেলেটি মারা যায় ২০০৭ সালে।
৯. যখন সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়ঃ
১৯৮৫ সালে কলম্বিয়াতে আরমেরো নামে ছোট গ্রামের পাশেই নেভাদো দেল রুইজ নামে আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। পুরো গ্রামের উপর এর প্রতিক্রিয়া ছিল ভয়াবহ। এতে ব্যপক ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়। অমায়রা স্যানচেজ নামে ১৩ বছরের এই মেয়েটি একটি বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকা পড়ে। উদ্ধারকর্মীদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে টানা ৬০ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সে মারা যায়।